এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭

মুসলমানদের বিভ্রান্তিকর বিভ্রান্তি।

প্রায় সব অর্ধশিক্ষিত মুসলমানই মনে করে যে কুরআনে বিজ্ঞানের ছড়াছড়ি। কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে দাবীই করে বসে যে বিজ্ঞানীরা নাকি কুরআন গবেষণা করেই সমস্ত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো করেছেন। কিন্তু যখন প্রম্ন করা হয় যদি কুরআনে সত্যিই বিজ্ঞান থেকে থাকে এবং কুরআন পড়েই যদি বিজ্ঞানের সব কিছুই আবিষ্কার করা যায় তবে মুসলমানরা কুরআন পড়ে বিজ্ঞানের কিছুই আবিষ্কার করতে পারে না কেন? তখনই শুরু হয়ে যায় মুসলমানীয় ত্যাঁনা প্যাচানো। নানা রকম কুযুক্তি অপযুক্তি দিয়ে গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে কুরআনেই বিজ্ঞানের সব কিছু রয়েছে। আর বিজ্ঞানীরা কুরআন থেকেই সব কিছু আবিষ্কার করেছে। যদি সত্যিউ তাই হতো তবে কুরআনের হাফেজ, ইসলামবিদ্যানগনই হতো পৃথিবীর শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী। সারা পৃথিবীতে অঅসংখ্য মুসলমান পন্ডিত অপন্ডিতরা দিন রাত ভরে কুরআন নিয়েই পড়ে থাকে কিন্দু এক ছটাক বিজ্ঞানও তাদের শরীর থেকে বের হয় না। পৃথিবীর তাবৎ মুসলমানরা যদি দিন রাত চেষ্টা করতে থাকে তবুও কুরআন পড়ে কোন বিজ্ঞানের জ্ঞানই বের করতে পারবে না। (যেসব মুসলমান বিজ্ঞানী বিজ্ঞানে অবদান রেখেছে এবং রেখে চলেছে তারা ইহুদী নাসারা আর নাস্তিকদের বানানো বিজ্ঞানের বই পড়েই বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো করে। কুরআন বা কোন আরবীয় বই পড়ে নয়। এটা ১০০ ভাগ সত্য।

যদিও মুসলমানরা দিন রাত ধরে চোখ কান বন্ধ করে দাবী করতেই থাকে যে কুরআনে প্রচুর বিজ্ঞান রয়েছে কিন্তু আমরা যখনই কুরআন পড়ে দেখি সেখানে শুধু ভুল আর ভুল দেখতে পাই। তবে তারা কেন এই মিথ্যা দাবীগুলো করে? তাদের সাথে কথা বলতে গেলে বুঝা যায় যে তারা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে যেয়ে নানা রকমের গোজামিল দিয়ে থাকে। তারা বলে যদিও কুরআনে চাঁদের নিজের আলোর কথা বলা হয়েছে কিন্তু কুরআনে আসলে চাঁদের নিজের আলোর জায়গায় চাঁদের প্রতিফলিত আলো হবে। অর্থাৎ তারা কুরআনের অর্থের পরিবর্তন করে ফেলেছে এবং বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখেই নতুন অর্থ করেছে যাতে কুরআনের এই ভুলটিকে সংশোষধ করা যায় এবং একই সাথে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো যায়। কতবড় ভন্ডামী আর প্রতারনার মাধ্যমেই না তারা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাচ্ছে!
আকাশ আর পৃথিবী এক সাথে মিশে ছিলো এবং কুরআন লেখক এই দুটোকে আলাদা করে নিয়েছেন- এমনটাই কুরআনে লেখা রয়েছে। এই লেখাটি দেখিয়েই মুসলমানরা দাবী করে কুরআনে নাকী বিগ ব্যাং-এর কথা বলা হয়েছে। বিগ ব্যাং-এ যেমন বলা হয়েছে বিশ্বজগত সৃষ্টি হবার আগে সব কিছু এক সাথে একটি অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে মিলিত ছিল ঠিক সেটাই নাকি কুরআনে বলা হয়েছে পৃথিবী আর আকাশের এক সাথে মিশে ছিল এই কথাটি কুরআনে লেখার মাধ্যমে।
কিন্তু মাথায় সামান্যতম ঘিলু থাকা মানুষও বুঝতে পারবে এখানে কুরআন সম্পূর্ণই বিগ ব্যাং-এর বিপরীত কথা বলেছে। উপরন্তু কুরআন এই দাবীটি দ্বারা বিগ ব্যাং-কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সম্পূর্ণ বিজ্ঞান বিরুদ্ধ কথা বলেছে।
কারণ আমরা জানি পৃথিবী নামের আমাদের গ্রহটি সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং-এরও কোটি কোটি বছর পড়ে। আর আকাশ হলো একটি গ্যাসীয় পদার্থের আস্তরণ যা পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। সুতরাং পৃথিবী আর আকাশ মিশে ছিলো আর এদুটোকে আলাদা করে দেওয়ার সাথে বিগ ব্যাং-এর কোনই সম্পর্ক নেই। লক্ষ করলেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কুরআনের এই কথাটি দাবী করছে পৃথিবী আর আকাশ বিগ ব্যাং-এর আগেই ছিল। যা সম্পূর্ণই বিজ্ঞান বিরুদ্ধ কথা। এটা সম্পূর্ণটাই মিথ্যা। আর কুরআনের এই ভুল কথাটি দিয়েই কিনা মুসলমানরা কুরআনেকে বিজ্ঞানময় দাবী করে। কতটা হাস্যকর এদের দাবী। জ্ঞান বিজ্ঞানে যে এরা প্রচন্ড পিছিয়ে পরা একটা জাতি সেটা তাদের এসব অজ্ঞতা সম্পন্ন দাবী দেখলেই বুঝা যায়।
কুরআনের এসব আয়াততো বিগ ব্যাং-এর কথা বলেই নি উপরন্তু এগুলো সম্পূর্ণই বিজ্ঞানের বিপরীত কথা বলেছে। যা প্রমাণ করে কুরআন একটি প্রাচীন আরবের অজ্ঞ মানুষের লেখা বই।
মুসলমানরা এসব দাবীর পরিপ্রেক্ষিতেও নানা রকম কুযুক্তি অপযুক্তির আমদানী করে থাকে। তারা দাবী করে যেহেতু একটি শব্দের অনেকগুলো অর্থ থাকতে পারে তাই তারা যেমন খুশি কুরআনের অর্থ করতে পারে। এমনকি কুরআনে ব্যবহৃত শব্দগুলোর নতুন নতুন অর্থ বানিয়েও তারা সেগুলো কুরআনে ব্যবহার করতে পারে। এমনকি তারা চাইলে তাদের নিজেদের মতো করে বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়েও কুরআনের নতুন অর্থ বানিয়ে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করতে পারে। আর এভাবেই নাকি কুরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ হয়ে উঠে। তাদের করা নতুন এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থটি যতই অদ্ভুত হোক না কেন সেটাই নাকি সঠিক। কিন্তু তাদের করা অর্থটি যে সঠিক এমন কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারে না এমনকি তারা দাবী করে তাদের প্রমাণ দেখানোর কোন দরকারই নাকি নেই। তারা যে নতুন ও সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থটি বিজ্ঞানের সাথে মিলাতে তৈরি করেছে সেটাই নাকি সঠিক।
অথচ তারা এক মুহুর্তেই কুরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বানাতে যেয়ে সম্পূর্ণই নতুন ও ভিন্ন অর্থ তৈরি করেছে যেমন খুশি কুরআনের অর্থ তৈরি করার মাধ্যমে যা গত ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা কুরআনের অর্থ থেকে সম্পূর্ণই ভিন্ন।
তাদের দাবী তারা যেমন খুশি অর্থ করার পরেও নাকি কুরআন আল্লাহর লেখা গ্রন্থই থাকে। যদিও আল্লাহর লেখা কুরআনের থেকে তাদের করা নতুন কুরআনের অর্থের মধ্যে আকাশ পাতালের পার্থক্য থাকে।

এছাড়াও তারা অমুক শব্দের তমুক অর্থ এবং তমুক শব্দের ঘমুক অর্থ- এসব বলে বলে দাবী করে তাই তারা কুরআনের যেমন খুশি অর্থ করতে পারে। আল্লাহ নাকি এভাবেই কুরআনকে নাজিল করেছে। যদিও তাদের করা কুরআনের নতুন অর্থটি গত ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা কুরআনের অর্থ থেকে সম্পূর্ণই ভিন্ন।
তাহলে প্রশ্ন হলো তারা কিসের ভিত্তিতে কুরআনের নতুন অর্থ করেছে বিজ্ঞানের সাথে কু্রআনকে মিলাতে যেয়ে। তারা যেমনটা কুরআনের সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ করেছে সেটা যে আল্লাহ লিখিত কুরআনই সেটারই বা প্রমাণ কি? আমরা তো দেখছি তারাই তাদের নিজেদের মতো করে কুরআনের নতুন অর্থ করছে! তাই না? তবে সেটা আল্লাহ প্রদত্ত কুরআনের অর্থ হলো কি করে?

এর উত্তরে তারা দাবী করে যে যদিও তারা এর কোন প্রমাণ দিতে পারবে না তবুও সেটাই সত্য। এবং এর বাইরে কুরআনের অন্য কোনই অর্থ পারবে না।
এছাড়া নানা রকমের ত্যাঁনাপ্যাঁচানো কুযুক্তিতো রয়েছেই তাদের!

এভাবেই ভুলে ভরা কুরআন হয়ে উঠছে বিজ্ঞানময় কিতাব। কেউ মেনে নেয় না যেহেতু নানারকম কুযুক্তি, অপযুক্তি এবং প্রমাণহীন দাবী এসব তবুও তারা গায়ের জোরেও কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মুসলমানদের এসব কাজ কারবার দেখলে হাসবো নাকি কাঁদবো আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারি না।

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

মুসলমানদের চমৎকার ভন্ডামী।

যখন কোন মুসলমান ইসলাম প্রচার করে, ইসলামের পক্ষে কথা বলে, ইসলামের শতশত বর্বরতাগুলোকে নানা রকমের গোঁজামিল দিয়ে বৈধতা দেয়, এমনকি নাস্তিকদের নামে নানা রকম কথা বলে মুমিন বান্দাদের ঈমান আমল ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে ততক্ষন পর্যন্ত সেই মুসলমান লোকটির সুনাম এবং সুখ্যাতি নিয়ে মুসলমানরা অনেক বাহাদুরী করতে করতে নানা রকমের চিল্লাফাল্লা করতে থাকে।
কিন্তু সেই লোকটিই যখন ইসলামের বর্বরতা, মিথ্যাবাদিতা ধরে ফেলে এবং মুসলমান থেকে নাস্তিক অথবা অন্য কোন ধর্মের অনুসারী হয় তখন এই মুসলমান মুমিন বান্দারাই সেই এক্স মুসলিমের নামে নানা রকমের কুৎসা রটনা করতে থাকে। তারাই দাবী করে যে সে আসলে মুসলমান নয়, সে ইহুদীদের দালাল, সে কখনই মুসলমানই ছিল না, সে আসলে হিন্দু মালাউন। সেই মুসলমান মুমিন বান্দারা যারা এতোদিন সেই লোকটির নানা রকমের যুক্তি শুনে নিজেদের ঈমান ধরে রেখেছে তারাই দাবী করতে থাকে যে লোকটি কোনদিনও মুসলমান ছিল না, সে ইহুদীদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে ইসলামের নামে মিথ্যাচার করছে। এমনকি কেউ কেউ দাবী করতে থাকে সে আসলে মালাউনের বাচ্চা। মুসলমান সেজে এতোদিন মুমিন বান্দাদের ধোঁকা দিয়ে এসেছে।
এতোদিন যাকে প্রশংসা করে এসেছে, ইসলামের সৈনিক- ইসলামেন বীর যোদ্ধা ইত্যাদি বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতো এই তারাই আবার এক্স মুসলিমটিকে কুৎসিত ভাষাতে গালাগাল দিতে থাকে।
এটা কেন করে? এটা করে তারা সেল্ফ ডিফেন্সের জন্য। যখনই কোন সত্য তাদের সামনে এসে পরে যা তাদের অন্ধবিশ্বাসকে ধ্বংস করে দিতে থাকে তখনই তাদের মস্তিষ্ক সেল্ফ ডিফেন্স হিসেবে নানা করম কুৎসা রটনা করতে থাকে এবং তাকে গালাগাল দিতে থাকে। অর্থাৎ মিথ্যা বলে হলেও অন্ধবিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

এর প্রমাণ পাই যখন মুফাস্সিল ইসলাম নামের একজন ইসলামের সৈনিক ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে অবিশ্বাসী হয়ে যায় এবং ইসলামের ভূলগুলো ধরিয়ে দিয়েছে বা ইসলামের বর্বরতাগুলো প্রকাশ করে দিয়েছে তখন মুসলমানরা এতোদিন যাকে ইসলামের সৈনিক বলে প্রশংসা করে এসেছে তাকেই কুৎসিত ভাষায় গালাগাল দিতে শুরু করে দেয়। এমন কোন হীন পদ্ধতি নেই যা তারা মুফাস্সিল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেনি।
ঠিক একই ঘটনা আমরা দেখতে পাই বর্তমানের ইসলাম ছেড়ে দেওয়া আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নামের এক্স মুসলিমের ক্ষেত্রে। যে লোকটি এতোদিন মাওলানা হয়ে, মুফতি হয়ে ইসলমানের খেদমত করে এসেছে; যার শিক্ষায় ইসলামের শিক্ষা গ্রহন করেছে শতশত মুসলমান সেই লোকটিকেই ইসলাম ছেড়ে দেবার কারণে নানা রকম কুৎসা রটনা করছে এবং তাকে নানা কুৎসিত ভাষায় গালাগাল করছে।
মোটকথা কোন মানুষ যতদিন ইসলামের বর্বরতাগুলোকে মাথা পেতে মেনে নেবে ততদিন সেই লোকটি তাদের কাছে ভালো। কিন্তু যখন সে ইসলামের বর্বরতাগুলো ধরে ফেলবে এবং ইসলামের মিথ্যাবাদিতা বুঝতে পেরে ইসলাম ছেড়ে দেবে তখনই সে খারাপ হয়ে যাবে। যদিও সে ইসলাম ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোন অপরাধই করেনি তবুও অন্ধবিশ্বাসী মুসলমানদের কাছে সে লোকটি জঘন্য খারাপ হয়ে যাবে। ফলে তার উপর তারা গালাগাল, আক্রমনাত্বক কথাবার্তা এবং কুৎসা রটনা করা শুরু করে তাদের নড়বড়ে ঈমানকে বাঁচিয়ে রাখবে।

মুসলমানদের এসব ভন্ডামীগুলো কখনই থেমে থাকে না। ধর্ম যে মিথ্যা এবং তারা যে একেকটা অন্ধবিশ্বাসী সেটার প্রমান পাওয়া তাদের এসব ভন্ডামী দেখেই।

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

ধর্মই অনৈতিকতাকে বৈধতা দিয়েছে। তাই ধর্মের নৈতিকতা আর বাস্তবের নৈতিকতা এক...

ধর্মই অনৈতিকতাকে বৈধতা দিয়েছে। তাই ধর্মের নৈতিকতা আর বাস্তবের নৈতিকতা এ...

আস্তিকদের কথা শুনলে মনে হয়, তাদের কথা হলো - যুক্তি যতই দাও তাল গাছটা আমারই!

পৃথিবীর সব ধর্মের অনুসারীরাই তাদের ধর্মগ্রন্থকে একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা দ্বারা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে সম্পূর্ণ অন্ধভাবে। এবং তাদের ধর্মগ্রন্থটি হলো নির্ভূল এমনটা মনে করে।
কিন্তু আমরা যখন তাদের ধর্মগ্রন্থকে পড়ে দেখি তখন দেখতে পাই তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোতে প্রাচীণ মানুষের ভ্রান্ত ধ্যান ধারণাই বর্ণিত হয়েছে।
ফলে আমরা যখন তাদেরকে তাদের ধর্মগ্রন্থ গুলোর ভূলগুলোকে দেখাই তখন তারা নানা গুজামিল দিতে থাকে। তারা বলতে থাকে, এটা রুপক ভাবে বলা হয়েছে, এটার অর্থটা ভিন্ন, এটা মানা যাবে না ওটা মানতে হবে যদিও ওটা ওখানে লেখা নেই তবুও, সেটা মানা যাবে না অন্যটা মানতে হয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
অর্থাৎ প্রথমে যদিও তারা দাবী করে তাদের ধর্মগ্রন্থে কোনই ভূল নেই পরে তারাই আবার দাবী করে এটা ওটা সেটার জন্য এটা ওটা সেটা হবে। অর্থাৎ তাদের ধর্মগ্রন্থ কি লেখা আছে সেটা বড় কথা নয়; বড় কথা হচ্ছে তারা কি ভাবে তাদের ধর্মগ্রন্থকে আধুনিক বানাতে পারে সেটাই।
অর্থাৎ যুক্তি যতই দাও তাল গাছটা আমারই!!!

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

আমাদের উচিত মানবিক মানুষ হওয়া।


ইদানিং দেখছি বাংলাদেশি নাস্তিকদের মধ্যে সহনশীলতা, ধোর্য্যশক্তি এবং সহমর্মিতা অনেক কমে গেছে। আমরা যারা বাংলাদেশি নাস্তিক তারা মাথার উপর পাহাড় নিয়েছি। আমরা এই দেশের ধর্মান্ধদের আলোর মূখ দেখাতে আমরা কারছি। তাই আমাদের উচিত অনেক অনেক বেশি ধোর্য্য ধরা, সহনশীল হওয়া এবং সর্বপরি আস্তিকদের প্রতি সহমর্মি হওয়া। কারণ এই আস্তিক শেণী ছোটবেলা থেকে ধর্মবাজদের দ্বারা এবং তার পরিবার দ্বারা ধর্মের মিথ্যাচারে অর্থাৎ কুসংস্কারে অন্ধবিশ্বাসী হয়ে উঠে। ফলে সত্য মিথ্যা যাচাই করার মতো মানসিকতা বা বুদ্ধির স্বাধীনতার সক্ষমতা পায় না। তাই অন্ধবিশ্বাসী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন হওয়া এবং ভয়ংকর ধর্মোন্মাধ হওয়া সত্যেও আমাদের উচিত তাদেরকে মানুষ করে তুলা, জ্ঞানের আলোয় তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনটাকে আলোকিত করার চেষ্টা করে যাওয়া। তাদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে দেখা। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা পাহাড়ের মতো দ্বায়িত্ব কাধে নিয়েছি। আমাদের গালাগালি করলে চলবে না। ওই সব অজ্ঞ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী মানুষগুলো আমাদেরই ভাই। একজন ভাই তার ভাইকে যেভাবে অন্ধকার থেকে, কুসংস্কার থেকে যেভাবে উদ্ধার করে ঠিক সেভাবে আমাদেরও উচিত আমাদের দেশের ধর্মাচ্ছন্ন অজ্ঞ মানুষগুলোকে মানুষ করে তুলা।
এজন্য আমাদের গালাগালি করলে চলবে না। মনে রাখতে হবে নাস্তিক হওয়াটা অনেক কঠিন হলেও শুধুমাত্র নাস্তিক হলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং আমাদের একজন মানবিকতা সম্পন্ন প্রকৃত মানুষ হতে হবে। তাই আমি নাস্তিক হয়েছি আর আমার একমাত্র দায়িত্ব ধর্মের মিথ্যাবাদিতা প্রকাশ করা, এর বাইরে আমার কোন দায়িত্ব নেই" এমনটি ভাবার কোনই কারণ নেই। আমাদের শুধু নাস্তিক হলেই চলবে না বরং একজন মানবিকতা সম্পন্ন ভালো মানুষ হতে হবে।
তাই আসুন আমরা অযথা গালাগালি পরিহার করে ধোর্য্য সহকারে আস্তিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদেরকে খুব ভালো ভাবে একজন ভাইয়ের মতো করে বোঝাই। তাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার চেষ্টা করি। তারা যেন আমাদেরকে তাদের শত্রু না ভাবে সেভাবে ব্যবহার করে চলি।
তাদের ধর্মের সমালোচনা করি কিন্তু তাদের সমালোচনা নয়। তারা মানসিক রোগী ছাড়া আর কিছুই নয়-এমনটা মনে করে তাদের প্রতি সহমর্মি হই। যারা সন্ত্রাসী নয় (ধর্মীয় সন্ত্রাসী নয়) তাদেরকেই আমরা মানুষ করার চেষ্টা করে যাব। তাদের মিথ্যা ধর্মগুলোতে আয়াত করবো কিন্তু তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে যাবো। একজন মানসিক রোগীর সাথে ডাক্তার যেমনটা আচরণ করে ঠিক সেভাবে।
তাই আমাদের উচিত নাস্তিক হবার সাথে সাথে একজন মানবিক মানুষ হওয়া এবং ধর্মান্ধ মানুষগুলোকে ভালো করা।

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

ইসলাম আসার আগে আইয়ামে জাহিলিয়া এবং ইসলাম আসার পরে সুপার আইয়ামে জাহিলিয়া !!!

মুসলমানরা হযরত মুহাম্মদের সমস্ত অন্যায় ও বর্বর কাজগুলোকে সে নিজে এবং তার অনুসারীরা বৈধতা দিতে যে অপপ্রচার চালিয়ে ছিল তারমধ্যে সবচেয়ে বড় অপপ্রচারটা ছিল "আয়ামে জাহিলিয়া" বা অন্ধকারের যুগ' এই অপপ্রচারটি। এবং এটি মুসলমানদের দ্বারা সবচেয়ে সফল অপপ্রচার। এখনও মুসলমানরা হযরত মুহাম্মদের কাজগুলোকে বৈধ করতে এই আয়ামে জাহিলিয়ার অপপ্রচারমুলক শব্দটি ব্যবহার করে। আসলেই কি সেরকম কিছু ছিল। দেখা যাক হযরত মুহাম্মদ কি কি আয়ামে জাহিলিয়াময় কাজ করেছে!

ইসলাম আসার আগে আয়ামে জাহিলিয়াতের যুগ মানে অন্ধকারের যুগ ছিল l
আর ইসলাম আসার পরে ফকফকা আলোর যুগের সূচনা হয়েছে l
কি বিশ্বাস করলেন না তো ! তাহলে দেখুন তার কিছু নমুনা !

১. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ বহু বিবাহে লিপ্ত ছিল l অর্থাত একজন মানুষ একসাথে ১০ টা ২০ টা বিয়ে করতো l আবার ইসলাম আসার পরেও মানুষ ৪ টা ১৩ টা বিয়ে করে l কোন পার্থক্য নেই !

২. ইসলামের আগে আরবের মানুষ শিশু বিবাহ এবং শিশু কামের মত জঘন্য কাজ করতো l ইসলাম আসার পরেও আরবের মানুষ শিশু বিবাহ এবং শিশু কামের মত জঘন্য কাজ করতো এবং করে ! কোন পার্থক্য নেই !

৩. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব লেগেই ছিল l আবার ইসলাম আসার পরে খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব চালিয়েই গেছে l কোন পার্থক্য নেই !

৪. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ অসহায় নিরীহ মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে বাজারে পশুর মত বিক্রি করতো অর্থাত দাস প্রথা ছিল l আবার ইসলাম আসার পরেও দাস প্রথা বলবৎ ছিল বহাল তবিয়তে l কোন পার্থক্য নেই !


৫. ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ অসহায় মেয়েদের পশুর মত বিক্রি করতো এবং ধনী ক্রেতারা সেই মেয়েদের কিনে নিয়ে যেয়ে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়ন করতো এবং তাদের সাথে পশুর মত ব্যবহার করতো l ইসলাম আসার পরেও দাসীদের সাথে একই আচরণ করা হত l কোন পার্থক্য নেই l

৬. ইসলাম আসার আগে মানুষ কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার নামে মানুষকে মেরে ফেলতো শুধু মাত্র বিধর্মী বলে এবং বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ বাধানো হতো l ইসলাম আসার পরেও কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার নামে মানুষ মেরেছে এবং যুদ্ধ বাধিয়েছে আগের চেয়েও বেশি পরিমানে l কোন পার্থক্য নেই ! বরং আরো বেশি বর্বর ! !!!

উপরের তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে বলা যায় ইসলাম আসার পূর্বে অর্থাত তথাকথিত অন্ধকার যুগে যে যে অন্যায় এবং বর্বরতা চালানো হয়েছে সেসব অন্যায় এবং বর্বরতা আগের মতই চলেছে ইসলাম আসার পরেও l ইসলাম আসার পরে এক সমাজ ব্যবস্থা থেকে অন্য সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন হয়েছে মাত্র কিন্তু অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি l ইসলাম আসার আগে যা যা চলত সেগুলোই আরো আইন করে বৈধতা দেয়া হয়েছে ইসলামের মাধ্যমে l তথাকথিত শান্তির ধর্মের নামে বিশ্বে অশান্তির সৃষ্টি করে গেছে ইসলাম l বর্তমান সভ্য জগতের সৃষ্টিতে ইসলাম কোন ভুমিকা রাখেনি l বরং মানুষ নিজের তাগিদে এবং সভ্যতার উন্নতিতে আজকের সভ্য সমাজে রূপান্তর হয়েছে l মানুষ নিজের জ্ঞান দিয়ে এবং মানবিকতার বিকশিয়তায় হত্যা, যুদ্ধ, ধর্ষণ, বহু বিবাহ, শিশু বিবাহ, দাস প্রথা, কলহ বিবাদ, ইত্যাদি জঘন্য কাজ থেকে মানুষ ফিরে এসে সত্যিকারের সভ্য মানুষে পরিবর্তিত হয়েছে এবং বাকিরাও আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হয়ে সভ্য মানুষে পরিনত হচ্ছে l আর এতে ইসলাম কোন ভুমিকা রাখেনি l বরং ইসলাম আসার আগে যেমন ছিল ইসলাম আসার পরেও তেমনি ছিল তথাকথিত শান্তির ধর্মের মানুষেরা l
বরং মানুষ ইসলাম বর্জন করে অথবা ইসলামের কুশিক্ষা বর্জন বা ত্যাগ করে মানুষ সভ্য হচ্ছে দিনদিন l আর একশ্রেনীর ইসলাম অনুসারীরা আয়ামে জাহেলিয়া তথা অন্ধকার যুগের ইসলামকে আকড়ে ধরে সেই বর্বরতা চালিয়ে যাবার চেষ্টায় আছে l সভ্য মানুষ সেই আয়ামে জাহিলিয়ার ইসলাম ধারী বর্বর মানুষগুলোকে ঘৃণার সাথে পরিত্যাগ করছে l
তাই আমাদের উচিত ইসলাম এবং সব ধর্মকে অথবা ধর্মের বর্বরতাকে ঘৃনা ভরে পরিত্যাগ করা l