এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০০৫

পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তাই সত্য নয়!

পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মের অনুসারী ধার্মীকদের করা প্রতিটি দাবীই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞান আমাদের দেখিয়েছে বিশ্বজগত কোন সৃষ্টিকর্তার হস্তক্ষেপ ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ সৃষ্টি প্রক্রিয়ার যে মিথ্যা গাল গল্পগুলো মানুষ বানিয়েছিল ধর্মের নামে তথা ইশ্বরের নামে সে সবগুলোই মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আজ আমরা জানি মানুষ হিন্দুদের মনু বা খ্রিস্টান, ইহুদী অথবা ইসলাম ধর্মের আদম হাওয়ার মাধ্যমেও জন্ম নেয়নি। কোন সৃষ্টিকর্তা মানুষকে মাটি বা বাতাস দিয়ে বানিয়ে তার মধ্যে আত্বা নামক মিথ্যা কিছু দিয়ে তাকে জীবন্ত করেনি। বিজ্ঞান আমাদের দেখিয়েছে বিশ্বজগত এবং মানুষের উত্তপত্তি কিভাবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বজগত তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়ায় যে বিগ ব্যাং হয়েছিল তাকে সৃষ্টিকর্তার কোনই দরকার পড়েনি। মানুষ বিবর্তনরের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ সৃষ্টি হয়েছে জড় পদার্থ থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে চলার ফলে। জড় থেকে জীব এবং সরল জীব থেকে জঠিল জীবের সৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবেই বিবর্তনের মাধ্যমে নানা প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে। এক সময় মানুষের বিবর্তন ঘটেছে পূর্বতন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী থেকে। তাই বিজ্ঞান প্রমান করে দিয়েছে পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে সবগুলোই মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসেছে সেই প্রাচীণকাল থেকে। কিন্তু এখন মানুষ সত্য যেনে গেছে। আর তারা নিশ্চত হচ্ছে পৃথিবীর সব ধর্মই মিথ্যা। আমরা সত্য জেনে গেছে। তাই সৃষ্টিকর্তার মতো প্রাচীণ মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হওয়া কিছু কাল্পনিক বিশ্বাসকে অন্ধভাবে অনুসরণ করার কোনই যুক্তিকতা নেই। পৃথিবীতে তথা বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই এই সত্যটি মেনে নেওয়াই সকল বুদ্ধিমান মানুষের একান্ত দায়িত্ব।
হয়তো বিশ্বজগতের একজন সৃষ্টিকর্তা আছে। তবে সেটি পৃথিবীর প্রচলিত ধর্মের সৃষ্টিকর্তাগুলো নয় এটা নিশ্চিত।