এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬

জন্মের সময় কোন শিশুই কোন ধর্মের অনুসারী হয়ে জন্ম নেয় না যেমনটা ধর্মের অনুসারীরা অন্ধের মতো দাবী করে থাকে!

আস্তিকদের প্রায়ই বলতে শোনা যায় যে, পৃথিবীর সব মানুষই নাকি জন্মের সময় তার (দাবীকারীর) ধর্মের অনুসারী হয়ে জন্ম নেয়। পরবর্তীতে ভিন্ন ধর্মের প্রভাবে তারা তাদের পিতা মাতার ধর্মের অনুসারী হয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, এই একই দাবী করে মুসলমান, হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ এবং আরো অনেক ধর্মই। এমনকি সব ধর্মের অনুসারীরাই এটাকে দৃঢ় সত্য বলে দাবি করে কোন প্রকার প্রমান ছাড়াই।
তাহলে প্রশ্ন হলো প্রকৃতপক্ষে জন্ম নেওয়া শিশুটি আসলে কোন ধর্মের অনুসারী হয়ে জন্মে?
আমরা জানি এই প্রশ্ন মুসলমান বা হিন্দু বা খৃষ্টান যাদেরকেই করা হোক না কেন তারা তাদের চোখ বন্ধ করে দাবী করবে ওই শিশুটে তাদের ধর্মের অনুসারী হয়েই জন্মেছে।
কিন্তু যখনই তাদের কাছে তাদের দাবীর প্রমাণ চাওয়া হবে তারা নানা রকমের চাপাবাজি করা শুরু করে দেবে। কিন্তু কোন প্রমাণই দিতে পারবে না।
ফলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ওইসব ধর্মের অনুসারীদের করা দাবীর কোনই ভিত্তি নেই। কারণ প্রকৃত সত্য হলো কোন শিশুই কোন নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারী হয়ে জন্ম নেয় না। তারা আসলে নিরপেক্ষ থাকে। কিন্ত তাদেরকে তাদের পিতা-মাতাগণ তাদের ধর্ম চাপিয়ে দেয় শৈশবে। যখন তারা সত্য মিথ্যা যাচাই করার মতো কোন জ্ঞানই অর্জন করে না।
এভাবেই ধর্মগুলো যুগযুগ ধরে টিকে আছে।

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

এদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কে ভালো মানুষ বলে আপনার মনে হয়?

সুলেমান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়। ওদিকে নারায়ন সকাল বিকাল পুঁজা করে। মাইকেল প্রতিদিন চার্চে যায়।
কিন্তু ডঃ হাই এরকম কিছুই করে না। তিনি পুরো সময় বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে।

সুলেমান এবং নারায়নের মতো মাইকেলও দান করে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি লাভের আশায়।
কিন্তু ডঃ হাই কোন প্রতিদানের আশায় দান করেন না। তিনি মানব দরদী মন থেকে দান করেন।

সুলেমান ভাবে নারায়ন, মাইকেল, ডঃ হাই ওরাতো নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে। তারা আল্লাহকে মানে না তাই তারা নিকৃষ্ট জাতি।
নারায়ন ভাবে সুলেমান, মাইকেল, ডঃ হাই ওরাতো নিশ্চিত নরকে যাবে। তারা ভগমানকে মানে না তাই তারা নিকৃষ্ট জাতি।
মাইকেল ভাবে সুলেমান, নারায়ন, ডঃ হাই ওরাতো নিশ্চিত দোজকে যাবে। তারা গড এবং জেসাসকে মানে না তাই তারা নিকৃষ্ট জাতি।
কিন্তু ডঃ হাই এসব কিছুই ভাবে না। তার কাছে পৃথিবীর সব মানুষই সমান। সবাই মানবিক মানুষ।


এদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কে ভালো মানুষ বলে আপনার মনে হয়?

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী - প্রমানঃ


প্রমানঃ  এখানে

কথিত ইশ্বর প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থের অনুরোপ লেখা মানুষের পক্ষেই লেখা সম্ভব!

ধর্মবাদীরা প্রায়ই দাবী করে যে, তাদের ধর্মগ্রন্থের মতো কোন কিছু লেখা সম্ভব নয়। এই দাবীটা সবচেয়ে বেশী আসে মুসলমানদের কাছ থেকে। তারা বলে তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের মতো সূরা বা আয়াত কেউ রচনা করতে পারবে না।
দাবিটা কতটুকু মিথ্যা সেটা এই লিংকটিতে গেলেই বুঝা যায়।
কিছু আয়াত আমি কপি পেস্ট করছি!

01)
সুরা আরম্ভ (বিজ্ঞান) :
১. বিজ্ঞানের নামে শুরু করছি যা মানব জাতির জন্য কল্যাণ ও হিতকর l
২. সমস্ত প্রশংসা সেইসব বিজ্ঞানীদের যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে মানবজাতির উপকারার্থে l
৩. যারা পরম জ্ঞানী , অতিশয় কল্যাণকারী l
৪. যারা বিজ্ঞান ও সমস্ত আবিস্কারের অধিনায়ক l
৫. তাদেরই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি এবং তাদের কাছেই জ্ঞান প্রার্থনা করি l
৬. আমাদেরকে আপনারা জ্ঞান ও আলোর পথ প্রদর্শন করুন l
৭. তাদের পথে যাদেরকে আপনারা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেছেন;
তাদের পথে নয় যারা বিজ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে; এবং তাদের পথেও নয় যারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসী l
(বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীগণ; জয় হোক !)
114)  
সুরা নাস্তিক (মানবতাবাদী)
১. সবাই বলুন: আমরা আশ্রয় চাইছি বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের আলোর l
২. যারা বিজ্ঞানের অধিকর্তা l
৩. যারা সমগ্র বিজ্ঞানের অধিনায়ক l
৪. মুখোশধারী ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্তি থেকে l
৫. যারা ধর্মের নামে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে l
৬. প্রতারক ধর্ম ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে অথবা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদের মধ্য থেকে l

link:

1.
 http://amiatheist.blogspot.com/search/label/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%20%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%20%E0%A6%95%E0%A6%BF%20%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%20%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%A8%E0%A6%BE

2.
http://amiatheist.blogspot.com/search/label/%E0%A6%B8%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9

মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬

ধন্যবাদ জানাই ইন্টারনেটে ধর্মগুলোর সত্যতা প্রকাশ কারী অগনিত ইউটিইবার, ব্লগার এবং ফেইসবুকারদের !

আমি যখন নাস্তিক হলাম তখন আমি ভাবতাম এই পুরো পুথিবীতে হয়তো আমি একাই নাস্তিক। তখন খুব ইচ্ছা হতো আমি নাস্তিকতার ব্যাপারগুলো নিয়ে কারোও সাথে আলাপ করার। কারণ ঈশ্বর, জীবন মরন, ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে অনেক ভাবতাম আর অনেক কষ্ট পেতাম। কিশোর মন ছিলতো তাই এমনটি হতো এখন সেটা বুঝতে পারি। কিন্তু তখনতো আর বুঝতাম না। এখন যখন ভাবি যে এগুলো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার তখন আর সেই কষ্টগুলো পাই না। তখন ইন্টারনেট ছিল না। তাই আমি জানতে পারিনি যে একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ অনেক আগে থেকেই নাস্তিক হয়ে আছে। যদি তখন তাদের সন্ধান পেতাম তবে তাদের সাথে কথা বলতে পারতাম। আমার পাওয়া সে সময়ের কষ্টগুলোও আর পেতে হতো না।
তাই ধন্যবাদ জানাই ইন্টারনেটে ধর্মগুলোর সত্যতা প্রকাশ কারী অগনিত ইউটিইবার, ব্লগার এবং ফেইসবুকারদের !

কেন এই ব্লগ?

আমি অনলাইনে অনেক দিন যাবত লেখালেখি করছি মানবিক মানব নামে। আমি এসেইস্ট নামে আমার একটি ব্যক্তিগত ব্লগও আছে। কিন্তু আমি চিন্তা করে দেখলাম আমার একটি ব্যক্তিগত ব্লগের দরকার যেখানে আমি আমার মনের অভিব্যক্তিগুলো শেয়ার করতে পারি। তাই এই ব্লগটি আমি তৈরি করলাম।