এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০০৭

আমি অজ্ঞেয়বাদী তাই আমি নামাজ পড়ার মতো অর্থহীন কাজ করতে চাই না।

আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না। যেহেতু আমি মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েছি তাই জন্ম সূত্রে আমি মুসলমান ছিলাম। আমি আল্লাহকেই সৃষ্টিকর্তা বলে বিশ্বাস করাতাম। কিন্তু সময় যতই যেতে থাকলো একটা পর্যায়ে আমি বুঝতে পারলাম আসলে জন্ম সূত্রে পাওয়া আমার ধর্মটি সত্য নয়। আমি ক্রমেই জানলাম আসলে পৃথিবীর কোন ধর্মই সত্য নয়। তাদের সৃষ্টিকর্তাগুলোও আসলে সত্য নয়। সবাই তাদের কল্পনা দিয়ে তাদের নিজেদের মতো করে সৃষ্টিকর্তাগুলোকে বানিয়েছে। হয়তো বিশ্বজগতের একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছে তবে সেটি পৃথিবীর প্রচলিত কোন সৃষ্টিকর্তা নয়। সৃষ্টিকর্তা বলে কোন একজন থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু আমি আসলে জানি না সৃষ্টিকর্তা থাকার সম্ভাবনা কতটুকু। তবে আমি এটা নিশ্চিত যে পৃথিবীতে প্রচলিত যতগুলো সৃষ্টিকর্তা আছে তার কোনটিরই অস্তিত্ব নেই। যদি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকা সম্ভব হয় এবং সৃষ্টিকর্তা বলে সত্যিই কেউ থেকে থাকে তবে সেটা পৃথিবীর প্রচলিত সৃষ্টিকর্তাগুলোর মধ্যে কেউ নয়। সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন সৃষ্টিকর্তা।
তাই আমাকে যতই নামাজ পড়তে বলা হোক না কেন, আমি মন থেকে কখনই নামাজের মতো অর্থহীন কর্মকান্ড করতে চাই না। যদিও বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে নামাজের মতো অর্থহীন ফালতু কাজটি করতে বাধ্য হই। আমার বাবা একজন খুবই ধার্মিক মানুষ। যদি সে বুঝতে পারে আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না তবে সে খুবই কষ্ট পাবে। আর আমি তাকে কষ্ট দিতে চাইনা। কারণ আমি জানি সে একজন অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ। তাই আমি চাইনা সে জানুক আমি ইশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না। কারণ আমি আমার বাবাকে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করাটা আমার কাছে যতই বাজে ব্যাপার হোক না কেন, আমার কাছে তার চেয়েও ভালোবাসা অনুভূতিটা তার থেকেও হাজার গুনে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তাই সৃষ্টিকর্তার মতো কুসংস্কারকে বিশ্বাস করার পরেও আমি আমার বাবাকে কষ্ট দিতে চাই না। কারণ আমি মানুষ এবং মানবতা বা মণুষ্যত্ব ব্যাপারগুলো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।