এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

তবুও কি আস্তিকদের হুস হবে না?

পৃথিবীতে ধার্মিকদের চেয়ে নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদীরা অপরাধ করে অনেক কম। অপরদিকে ধার্মিকরা প্রতিনিয়ত অন্যায় করে চলেছে। পৃথিবীতে এমন কোন অপরাধ নেই যা আস্তিকরা করছে না। তবুও কি তাদের হুস হবে না? নাস্তিকদেরকে তারা এতো ঘৃণা করে কেন? ওরাতো যুক্তির কথা বলে; বলে বিজ্ঞানের কথা। তবে ওরা এতো ক্ষেপে যায় কেন?

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬

ট্রাম্প প্রেসিডেন্টকে নিয়ে কিছু কথা!

যুক্তরাষ্টের নির্বাচনকে ঘিরে সারা পৃথিবী জুরেই চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। ডুনাল্ট ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় অনেকে ক্ষুব প্রকাশ করেছে। আবার অনেকে বিদ্রোহও শুরু করে দিয়েছে। বহির্বিশ্বে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। কেউ কেউ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ডোনাল্ট ট্রাম্পকে নির্বাচিত করেছে আমেরিকার সাধারণ জনগন। শর্ত মনে ট্রাম্পকেউ হতে হবে ৪৫-তম প্রেসিডেন্ট। মানুষ যত সমালোচনাই করুক না কেন এই সত্যটাকে বদলানো যাবে না। যদিও ট্রাম্প ব্যাক্তি হিসেবে সমালোচনারই যোগ্য তবুও আমেরিকার সিংহ ভাগ জনগণের রায়কে সবারই সম্মান দেখানো উচিত।
আমি বলছি না ট্রাম্প আমেরিকার মতো একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হবার মতো যথেষ্ঠ যুগ্যতা রাখে। কিন্তু আমেরিকার বেশীর ভাগ জনগন যদি ট্রাম্পকে নির্বাচিত করেই ফেলে তবে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এটাই উচিত হবে ট্রাম্পকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। নিয়ম মতে এটাই হওয়া উচিত।
একথা অস্বীকার্য যে, ট্রাম্পের মতো একজন আত্বকেন্দ্রিক মানুষ যদি ক্ষমতায় যায় তবে আমেরিকার এবং বিশ্বের অন্যান্যদের জন্য খুব একটা সুফল বয়ে আনবে কিনা সেটা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা আছে। কিন্তু তবুও এটা আমেরিকান জণগনের নিজস্ব ব্যাপার তারা কাকে নির্বাচিত করবে অথবা কাকে করবে না। নীতি অনুযায়ী নির্বাচিত ব্যাক্তিই প্রেসিডেন্ট হবার যোগ্য এবং তাকে তার প্রাপ্য ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়াই গণতন্ত্রের আবশ্যিক দায়িত্ব।
বারাক ওবামা বা হিলারীর মতো বিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ ব্যাক্তিরা যখন ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে পারে তবে বাকী সবারও সেটা মেনে নেওয়াই উচিত। এটাই গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র।
এখন দেখতে হবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে কতটা সফল হতে পারে। অথবা কতটা ব্যার্থ হয়। বিশ্বের জন্য এবং আমেরিকানদের জন্য যেন কুফল না আসে সেটাই কামনা করি।

শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৬

সময় এসেছে ধর্মের বর্বরতাকে গলা টিপে ধরার।

নাসির নগরে যা হয়েছে সেটা নিয়ে সারা দেশের মানুষই কথা বলছে, প্রতিবাদ করছে। ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক এর অনুভূতির দাবী তুলে দেশে অনেক আগে থেকেই নিষ্ঠুর আক্রমন হয়ে এসেছে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। ধর্ম মানুষকে কতটা অমানুষ করে তুলে সেটা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো দেখলেই বুঝা যায়। যুগে যুগে ধর্ম সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং এখনও তার ধারা অব্যাহত আছে। যতদিন পৃথিবীতে ধর্ম আছে ততদিন পৃথিবীতে ধ্বংসাত্বক অপরাধগুলো চলতেই থাকবে। আর ইসলাম বিশ্বে প্রধান সন্ত্রাসীর রুপ ধারণ করেছে (ইসলাম আসলে সব সময়ই সব ধর্মের থেকে বেশী সন্ত্রাসীপণা করে এসেছে সবসময়)। আজ যদি ধর্মকে; ধর্মের বর্বরতাকে গলা টিপে না ধরা হয় তবে খুব বেশী দিন বাকী নেই বাংলাদেশ একটি পরিত্যাক্ত জনবসতিহীন হয়ে যাবে। ইসলাম এক দল আরেক দলকে হত্যা করে করে বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিবে। সময় এসেছে সভ্য হবার। কুসংস্কার বাদ দিয়ে জ্ঞানকে আকড়ে ধরতে হবে, অন্ধবিশ্বাস থেকে বেড়িয়ে এসে যৌক্তিক বিজ্ঞান নির্ভর সভ্যতা গঠন করতে হবে। তবেই দেশ থেকে কৃসংস্কারময় ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতার মতো ভয়াবহ ধর্মীয় কার্যকলাপ বন্ধ হবে।