এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

আমি কুরআন আর হাদিস পড়েই নাস্তিক হয়েছি।

আমি কুরআন আর হাদিস পড়েই নাস্তিক হয়েছি।
অনেক কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীর দল আমাকে প্রশ্ন করতে পারে, কুরআন পড়ে নাস্তিক হওয়া যায় না। কুরআন হাদিস পড়ে কেবল মাত্র মুসলিমই হওয়া যায়। ডাক্তারের বই পড়লেই কেবল ডাক্তার হওয়া যায়। বিজ্ঞানের বই পড়লেই বিজ্ঞানী হওয়া যায়। কেই বিজ্ঞানের বই পড়ে যেমন মূর্খ হতে পারে না ঠিক তেমনি কুরআন হাদিস পড়লে কেবল মুসলমানই হওয়া যায় নাস্তিক হওয়া যায় না।
সেসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই;   ভাই সাহেব আপনি কুরআনের ভূল পেতে চাইলে আপনাকে কুরআনই পড়তে হবে। আপনি বাইবেল পড়লে কুরআনের অসাড়তা বা মিথ্যাবাদিতা ধরতে পারবেন না। বাইবেল পড়লে বাইবেলের ভূল ধরা যায় কুরআনের নয়। ঠিক একই ভাবে কুরআনের ভূল ধরতে গেলে কুরআন পড়তে হবে।
আমি কুরআন পড়েছি, কুরআনের ভুল পেয়েছি; আর তাই আমি নাস্তিক হয়েছি। এজন্য অবশ্য আমাকে বিজ্ঞানের সাহায্য নিতে হয়েছে। নয়তো আমি কুরআনের ভূল ধরতে পারতাম না।
আর এজন্যই নাস্তিক হতে হলে কুরআন আর হাদিস ভালো ভাবে পড়তে হবে। নয়তো মুসলমান হতে হবে।
যারা দাবী করেছে যে, কুরআন পড়ে নাস্তিক হওয়া সম্ভব নয় যেভাবে বিজ্ঞানের বই পড়ে মূর্খ হওয়া যায় না- তাদেরকে বলতে চাই, ভাই আপনি কোন বইয়ের ভূল পেতে চাইলে সেই বইটিই পড়তে হবে। তবেই আপনি সেই বইটার ভূল সম্পর্কে জানতে পারবেন!

1 টি মন্তব্য:

  1. ভাই কুরআন ভুল নয়। হাদিসে ভুল থাকতে পারে। ধর্ম গ্রন্থ গুলো যুগের প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে। আবার যুগের প্রেক্ষাপটেই তার সংস্কার হয়েছে। ভুল বিধাতা করেন না আমরা মানুষরা ভুল করি আমাদের জ্ঞানের পরিসীমা সিমিত তো তাই ভুল হয়ে যায়। স্রষ্টা বলেছেন, যখন আমার কোন বাণি মিটিয়ে দেই বা ভুলিয়ে দেই তখন সেই বাণির পরিবর্তে সমপর্যয়ে বা তার চেয়ে কল্যানকর বাণি আনয়ন করি। মানে সংস্কার করি। তিনি আবার সংস্কার করবেন।

    উত্তরমুছুন