এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

ধর্মই অনৈতিকতাকে বৈধতা দিয়েছে। তাই ধর্মের নৈতিকতা আর বাস্তবের নৈতিকতা এক...

ধর্মই অনৈতিকতাকে বৈধতা দিয়েছে। তাই ধর্মের নৈতিকতা আর বাস্তবের নৈতিকতা এ...

আস্তিকদের কথা শুনলে মনে হয়, তাদের কথা হলো - যুক্তি যতই দাও তাল গাছটা আমারই!

পৃথিবীর সব ধর্মের অনুসারীরাই তাদের ধর্মগ্রন্থকে একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা দ্বারা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে সম্পূর্ণ অন্ধভাবে। এবং তাদের ধর্মগ্রন্থটি হলো নির্ভূল এমনটা মনে করে।
কিন্তু আমরা যখন তাদের ধর্মগ্রন্থকে পড়ে দেখি তখন দেখতে পাই তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোতে প্রাচীণ মানুষের ভ্রান্ত ধ্যান ধারণাই বর্ণিত হয়েছে।
ফলে আমরা যখন তাদেরকে তাদের ধর্মগ্রন্থ গুলোর ভূলগুলোকে দেখাই তখন তারা নানা গুজামিল দিতে থাকে। তারা বলতে থাকে, এটা রুপক ভাবে বলা হয়েছে, এটার অর্থটা ভিন্ন, এটা মানা যাবে না ওটা মানতে হবে যদিও ওটা ওখানে লেখা নেই তবুও, সেটা মানা যাবে না অন্যটা মানতে হয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
অর্থাৎ প্রথমে যদিও তারা দাবী করে তাদের ধর্মগ্রন্থে কোনই ভূল নেই পরে তারাই আবার দাবী করে এটা ওটা সেটার জন্য এটা ওটা সেটা হবে। অর্থাৎ তাদের ধর্মগ্রন্থ কি লেখা আছে সেটা বড় কথা নয়; বড় কথা হচ্ছে তারা কি ভাবে তাদের ধর্মগ্রন্থকে আধুনিক বানাতে পারে সেটাই।
অর্থাৎ যুক্তি যতই দাও তাল গাছটা আমারই!!!

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

আমাদের উচিত মানবিক মানুষ হওয়া।


ইদানিং দেখছি বাংলাদেশি নাস্তিকদের মধ্যে সহনশীলতা, ধোর্য্যশক্তি এবং সহমর্মিতা অনেক কমে গেছে। আমরা যারা বাংলাদেশি নাস্তিক তারা মাথার উপর পাহাড় নিয়েছি। আমরা এই দেশের ধর্মান্ধদের আলোর মূখ দেখাতে আমরা কারছি। তাই আমাদের উচিত অনেক অনেক বেশি ধোর্য্য ধরা, সহনশীল হওয়া এবং সর্বপরি আস্তিকদের প্রতি সহমর্মি হওয়া। কারণ এই আস্তিক শেণী ছোটবেলা থেকে ধর্মবাজদের দ্বারা এবং তার পরিবার দ্বারা ধর্মের মিথ্যাচারে অর্থাৎ কুসংস্কারে অন্ধবিশ্বাসী হয়ে উঠে। ফলে সত্য মিথ্যা যাচাই করার মতো মানসিকতা বা বুদ্ধির স্বাধীনতার সক্ষমতা পায় না। তাই অন্ধবিশ্বাসী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন হওয়া এবং ভয়ংকর ধর্মোন্মাধ হওয়া সত্যেও আমাদের উচিত তাদেরকে মানুষ করে তুলা, জ্ঞানের আলোয় তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনটাকে আলোকিত করার চেষ্টা করে যাওয়া। তাদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে দেখা। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা পাহাড়ের মতো দ্বায়িত্ব কাধে নিয়েছি। আমাদের গালাগালি করলে চলবে না। ওই সব অজ্ঞ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী মানুষগুলো আমাদেরই ভাই। একজন ভাই তার ভাইকে যেভাবে অন্ধকার থেকে, কুসংস্কার থেকে যেভাবে উদ্ধার করে ঠিক সেভাবে আমাদেরও উচিত আমাদের দেশের ধর্মাচ্ছন্ন অজ্ঞ মানুষগুলোকে মানুষ করে তুলা।
এজন্য আমাদের গালাগালি করলে চলবে না। মনে রাখতে হবে নাস্তিক হওয়াটা অনেক কঠিন হলেও শুধুমাত্র নাস্তিক হলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং আমাদের একজন মানবিকতা সম্পন্ন প্রকৃত মানুষ হতে হবে। তাই আমি নাস্তিক হয়েছি আর আমার একমাত্র দায়িত্ব ধর্মের মিথ্যাবাদিতা প্রকাশ করা, এর বাইরে আমার কোন দায়িত্ব নেই" এমনটি ভাবার কোনই কারণ নেই। আমাদের শুধু নাস্তিক হলেই চলবে না বরং একজন মানবিকতা সম্পন্ন ভালো মানুষ হতে হবে।
তাই আসুন আমরা অযথা গালাগালি পরিহার করে ধোর্য্য সহকারে আস্তিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদেরকে খুব ভালো ভাবে একজন ভাইয়ের মতো করে বোঝাই। তাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার চেষ্টা করি। তারা যেন আমাদেরকে তাদের শত্রু না ভাবে সেভাবে ব্যবহার করে চলি।
তাদের ধর্মের সমালোচনা করি কিন্তু তাদের সমালোচনা নয়। তারা মানসিক রোগী ছাড়া আর কিছুই নয়-এমনটা মনে করে তাদের প্রতি সহমর্মি হই। যারা সন্ত্রাসী নয় (ধর্মীয় সন্ত্রাসী নয়) তাদেরকেই আমরা মানুষ করার চেষ্টা করে যাব। তাদের মিথ্যা ধর্মগুলোতে আয়াত করবো কিন্তু তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে যাবো। একজন মানসিক রোগীর সাথে ডাক্তার যেমনটা আচরণ করে ঠিক সেভাবে।
তাই আমাদের উচিত নাস্তিক হবার সাথে সাথে একজন মানবিক মানুষ হওয়া এবং ধর্মান্ধ মানুষগুলোকে ভালো করা।