এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

নাস্তিক হবার শর্ত:-

নাস্তিক হবার শর্ত:-

১. বুদ্ধিমত্বা - বুদ্ধিমত্বা একটু উপরের লেভেলের হতে হবে । কারণ কম বুদ্ধিমত্বা সম্পন্ন প্রাণী সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করে কিন্তু বেশী বুদ্ধিমত্বা সম্পন্ন প্রাণী সৃষ্টিকর্তাকে হত্যা করে । (সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করা এবং সৃষ্টিকর্তাকে হত্যা করা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার মিথ্যে ধারনা বিশ্বাসকে সৃষ্টিকরা এবং হত্যা করা ।)
২. যৌক্তিক মন - যে মন যুক্তি বুঝতে পারে । এবং যুক্তির কাছে অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারকে পরাজিত করতে পারে । এমন মন নয় যে বলে কোন কিছুই সুষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না আর তাই সবকিছুর একজন সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে; কিন্তু এটা বুঝতে পারে না এই যুক্তিতে সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে তা না হলে "সবকিছুর সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন" এই যুক্তিটা অর্থহীন হয়ে যায় । এরকম কু-যৌক্তিক মন থাকলে অন্ধবিশ্বাসী আর কুসংস্কারাচ্ছন্নই হওয়া যায়; নাস্তিক হওয়া যায় না ।

৩. বাস্তব জ্ঞান - আপনাকে বাস্তব জ্ঞান অর্থাত বিজ্ঞান সম্পর্কে মোটামুটি ভালো জ্ঞান থাকতে হবে । "পৃথিবী আর আকাশ একসাথে মিশে ছিল আর আল্লাহ এদের আলাদা করে দিয়েছে - এটাই বিগ ব্যাং" এধরনের অপ-বিজ্ঞান জেনে আর যাই হোক বিজ্ঞান জানা হয় না । বিজ্ঞান ভালোভাবে জানতে হবে । "বিবর্তনবাদ একটা থিওরি মাত্র, এটি কোন ফ্যাক্ট নয় আর তা্ই ফসিল সব ভুয়া" এধরনের ফালতু ধারনা বিশ্বাস করা; কিন্তু "ফ্যাক্ট আসলে কি ("what is fact?) সেটা সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকাই হচ্ছে বিজ্ঞান সম্পর্কে ভুল ধারনা পোষন করা (ফসিলগুলোই বিবর্তনবাদের ফ্যাক্ট) । আর এই ভূল ধারনা বিশ্বাস করা এবং এগুলোই অহংকারের সাথে প্রকাশ করাই হচ্ছে অজ্ঞতা । এই অন্ধবিশ্বাসগুলোই বাস্তবতা বহির্ভুত জ্ঞান । তাছাড়া স্বর্গ, নরক, পর-জনম, আদম-হাওয়া প্রভৃতি কাল্পনিক কাহিনী (রুপকথার কাহিনী) এগুলোই বাস্তবতা বহির্ভুত জ্ঞান । আর বাস্তব জ্ঞান বাদ দিয়ে বাস্তবতা বহির্ভুত জ্ঞান দিয়ে কোন দিনও নাস্তিক হওয়া যায় না ।
মোট কথায় নাস্তিক হতে হলে সব রকম অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, কাল্পনিক রুপকথার কাহিনীতে বিশ্বাস, অবৈজ্ঞানিক কুযুক্তি বিশ্বাস এবং যুক্তিহীনতা প্রভৃতি বাদ দিতে হবে ।