এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০০৮

সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস করেও কেউ ভালো হতে পারে। বরং ধার্মিকরাই অপরাধ করে চলে প্রতিনিয়ত।

তোমাকে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করা উচিত! বললেন আমার খুব কাছের একজন মানুষ। সে আরো বললো- সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস না করলে ভালো মানুষ হওয়া যায় না। কারণ ভালো  মন্দ ব্যাপারটা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার দিয়েছেন। তাই যদি সৃষ্টিকর্তাকে কেউ অবিশ্বাস করে তবে সে আর ভালো মানুষ থাকতে পারবে না।
তোমাকে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করা উচিত! বললেন আমার খুব কাছের একজন মানুষ। সে আরো বললো- সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস না করলে ভালো মানুষ হওয়া যায় না। কারণ ভালো  মন্দ ব্যাপারটা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার দিয়েছেন। তাই যদি সৃষ্টিকর্তাকে কেউ অবিশ্বাস করে তবে সে আর ভালো মানুষ থাকতে পারবে না।
আমি উত্তরে বললাম - সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করলেই কেউ খারাপ হয়ে যায় না। ভালো খারাপ মানুষের ব্যক্তিগত আচরণ থেকে তৈরী হয়। সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস না করেও কেউ ভালো মানুষ হতে পারে যদি সে খারাপ কাজ না করে এবং সব সময়ই ভালো কাজ করে। ভালো কাজ করতে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতে হয় না। যার কোন অস্তিত্ব নেই, তাকে বিশ্বাস করে অর্থহীন কিছু কাজ করলেই কেউ ভালো মানুষ হয়ে যায় না যদি সে প্রতিনিয়ত খারাপ কাজ করে চলে। ঘুষ খেয়েও অনেক মানুষ নামাজ পড়ে। একজন ধার্মিক মানুষও কাউকে খুন করলে সে খারাপ মানুষ হয়ে যায়। তাই ভালো খারাপের সাথে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কোন সম্পর্ক নেই।
আমি সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি না; আবার আমি কোন খারাপ কাজও করি না। যেহেতু সৃষ্টিকর্তার কোনই অস্তিত্ব নেই এবং আমি ভালো কাজ করি তাই আমি একজন ভালো মানুষ। এর সাথে সৃষ্টিকর্তার কোনই সম্পর্ক নেই। আছে আমার নৈতিকতা বোধ বা ভালো মানুষিকতার সম্পর্ক। বরং সৃষ্টিকর্তার মতো একটি মিথ্যা ধারণাকে সত্য বলে অন্ধের মতো বিশ্বাস করা এবং তাকে সত্য বলে প্রচার করাটা একটি অন্যায় কাজ। কারণ তাতে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আর মিথ্যা কথা বলা সব সময়ই খারাপ কাজ। আর যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে যারা মিথ্যা ছড়াচ্ছে তারা ভালো কাজ করলেও তাদের মিথ্যাবাদিতার জন্য সব সময়ই খারাপ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে। তাই সব ধার্মিকরাই কম করে হলেও খারাপ। কারণ তারা জেনে বা না জেনে মিথ্যা প্রচার করে। অপর দিকে সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী অন্তত এই মিথ্যাবাদীতা থেকে দুরে থাকে।